Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পূর্ববতী মামলার রায়

 

বাদী পক্ষ মামলা রুজু করার পর নির্ধারিত তারিখে বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের শুনানী, তদন্ত, সাক্ষী প্রমাণ এবং মামলার প্রমাণ স্বরুপ বাদী অথবা বিবাদীর অনুকূলে রায় দেওয়া হয়। নিম্নে পূর্ববর্তী রায়ের একটি কপি দেওয়া গেল।

অর্ডার সিট

গ্রাম্য আদালত ২নং আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ

থানা-লোহাগাড়া, জিলা-চট্টগ্রাম।

মামলা নং-১২১/১৪

১। জুলেখা বেগম.................................বাদী।

                             ২। মোঃ মাহফুজুর রহমান (গং).............................বিবাদী।

তারিখ

অর্ডার

বিচারকের স্বাক্ষর

০১-০২-২০১৪

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অদ্য বাদী হাজির আছে । বিবাদীগণ দিন জানা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত ভাবে হাজির নাই।অদ্য তারিখে গ্রাম আদালতে বাদীর জবান বন্দি গ্রহণ করা হইল। মামলা চুড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইল।বাদীর আর্জি পর্যালোচনা করিয়া দেখা গেল যে, বাদীনি একজন সরল পর্দানিশি মহিলা ও ১নং বিবাদীর স্ত্রী হয়।বিবাদীগণ যৌতুক লোভী নারী নির্যাতন কারী লোক হয়।বাদীনির বিবাহের পর হইতে শারিরীক মানসিক নির্যাতন কারী হিসাবে প্রমাণিত হয় এবং বাদীনির পিতা হইতে যৌতুক হিসাবে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ টাকা)  দাবী করে।বাদীনি অপারগতা প্রকাশ করিলে বিবাদীগণে বাদীনিকে নির্যাতন করিলে বিগত ২০০৮ সালে  চেয়ারম্যান জনাব এনামুল হক এনাম বিবাদীগণকে নোটিশ যোগে তলব পূর্বক স্বাক্ষী প্রমাণে দোষী প্রমাণিত হইলে ক্ষমা প্রার্থনা করিলে আগামী দিনে কোন ধরণের নির্যাতন করিবেনা টাকা দাবী করিবেনা বলিয়া ওয়াদা করে।কিছুদিন যাওয়ার পর ১নং বিবাদী পুনরায় অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিয়া নির্যাতন করিতে থাকে।২নং বিবাদীর পরামর্শে ১নং বিবাদী বিদেশ যাওয়ার জন্য ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ টাকা)  দাবী করে।হঠাৎ বাদীনির বড় ছেলে অসুস্থ হইয়া পড়িলে ২নং বিবাদী হইতে ২,০০০/(দুই হাজার টাকা) ধার নিয়া গত ০৯/০৫/১৩ইং তারিখে ছেলেকে পদুয়া হাসপাতালে ভর্তি করায়, চিকিৎসা শেষে ১১/০৫/১৩ইং তারিখে বাড়ীতে আসিলে ঐ দিনই টাকা দাবী করে।টাকা গুলি ১ সপ্তাহ পর দেওয়ার কথা বলিলে সাথে সাথে ২নং বিবাদী ঘরের দরজার বারি নিয়া বাদীনিকে সারা শরীরে আঘাত করিয়া ফুলা জখম করিয়া ফেলে, কোলে থাকা ২ বছরের শিশুকেও আঘাত করে। ১নং বিবাদী ঘরে থাকার পরও ২নং বিবাদীকে বাধা না দিয়া বরং মারার জন্য উৎসাহ প্রদান করে। বাদীনির পিতা খবর পাইয়া বাদীনিকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় ডাক্তারের মাধ্যমে ৭০০/-টাকার চিকিৎসা করিয়া ছেলেসহ বাদীনিকে পিতার বাড়ীতে নিয়া আসে।এই পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ ও  খরপোষ না দেওয়ায় আমি এবং গ্রাম আদালতের অন্যান্য সদস্যগণ  

                    

একমত হইয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলাম যে, গ্রাম আদালত বিধি-১৯৭৮,১৬(১) ধারা মতে আদালত অমান্য কারী এবং নারী নির্যাতন কারী-যৌতুক লোভী বিবাদীগণের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একতরফা সূত্রে রায় প্রদান করা হইল।